Monday, March 17, 2025

শীর্ষ সন্ত্রাসী এজাজের ঢামেকে মৃত্যু




ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ‍পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে থাকা গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজ (৩৪) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় ইফতারির সময়ে তিনি মারা যান।

 নিহতের বাবা শাহ আলম এবং ঢামেক পুলিশ ফাড়ির উনচার্জ মো. ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  ঢামেক হাসপাতলে নিহত এজাজের ডায়ালাইসিস চলছিল।


নিহতের বাবা শাহ আলম জানান, শুক্রবার রাতে ডিবি পুলিশ তাকে জামিনে থাকা সত্ত্বেও গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। পরে শনিবার সকালে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে তিনি একটি ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন।


জানা যায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী এজাজ মারা যাওয়ার পরেই তারা পরিবারের লোকজনেরা জোরপূর্বক হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ নিয়ে যায়। তবে এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


ডিবি সূত্রে জানা যায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ওরফে ইমনের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হেজাজ ওরফে এজাজকে শুক্রবার মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করে ডিবি-ওয়ারি বিভাগ। পরে মিন্টু রোডে ডিবির প্রধান কার্যালয়ে এজাজ অসুস্থ হয়ে পড়লে ডিবি পুলিশ তাকে ঢামেক হাসপাতলে ভর্তি করান। সেখানে শনিবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়ােই পরিবারের লোকজন এজাজকে নিয়ে যায়।


এ ব্যাপারে গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের (ওয়ারী জোনাল টিম) অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. ফজলুল করিম বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখন ব্যস্ত আছি। তবে কথা বলবো। এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।’


এরআগে গত ১০ মার্চ  রাজধানীর রায়ের বাজার এলাকা থেকে এজাজ ওরফে হেজাজকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। পরদিন মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকালে তাকে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপর বুধবার আদালতের মাধ্যমে তিনি জামিয়ে বেরিয়ে আসেন।


পুলিশ সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত ১৫ আগস্ট শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম, পিচ্চি হেলাল ও ইমনের সঙ্গে জামিনে মুক্তি পান এজাজ। মুক্তির পর থেকেই তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। কিছুদিন আগে এলিফ্যান্ট রোডে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ও কোপানোর ঘটনার মূল হোতা ছিলেন এজাজ। এছাড়া মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড ও কলাবাগান এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতেন তিনি


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.

0 coment rios: