![]() |
(গণপূর্ত অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী রফিকুজ্জামান) |
ঢাকা: রাজধানীর চিরচেনা যানজট ও নানা দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যে ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি)’ ভিত্তিতে প্রকল্পটি হাতে নেয় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটারের সড়ক ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটারে নেমে আসবে এবং হাতিরঝিল থেকে ডেমরায় আসতে ১০ মিনিট লাগবে।
এজন্য রাজধানীর হাতিরঝিল, রামপুরা, মেরাদিয়া, বনশ্রী, শেখের জায়গা, আমুলিয়া ও ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারসংলগ্ন এলাকার অনেক জমি অধিগ্রহণ করতে হয়।
তখনই শুরু হয় মহা হরিলুট। রামপুরার ,বনশ্রী ,মেরাদিয়া মৌজার ভুমি ও স্থাপনার অধিগ্রহণে মূল্য নির্ধারনে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী রফিকুজ্জামান এবং ডিসি অফিসের কানুনগো সিরাজ , সার্বেয়ার জাহাঙ্গীরসহ কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী এবং ডিসি অফিসের দালাল মুস্তফা কামাল , দালাল স্বপন সরকার , দালাল কফিল উদ্দিনের যোগসাজশে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, যে স্থাপনার মালিক রফিকুজ্জামান গংদের ম্যানেজ করেছে তারাই অতি মূল্য পেয়েছেন। আর যারা যোগাযোগ করেনি তাদের স্থাপনার নামমাত্র দাম নির্ধারণ করেছে এাই চক্রটি।
সূত্র বলছে, এই চক্রটিকে ম্যানেজ না করলে অধিগ্রহনের সঠিক বিল পাওয়া দুস্কার ।অভিযোগ রয়েছে স্থাপনা অধিগ্রহণে গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাফিয়াখ্যাত সহকারি প্রকৌশলী রফিকুজ্জামান কোন নিয়ম কানুন তোয়াক্কা না করে তার ইচ্ছে মত স্থাপনার বিল করে ,সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
গণপূর্তের রফিকুজ্জানেরসহ এই অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও কোন ধরনের ব্যাবস্থা না হওয়ায় দিন দিন মাফিয়া হয়ে উঠছে রফিকুজ্জামান গং ।
এদিকে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল এ) মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা শুভ জানান, বাড়ির মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি একান্তই গনপূর্ত অধিদপ্তরের। এখানে কোন অনিয়ম হলে তার দায়ভার তাদের। তবে কেউ যাতে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করতে না পারে সে বিষয়টি নজরের রাখা হচ্ছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত রফিকুজ্জামানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও ফোন রিসিভ করেনি। সঠিক তদন্তর মাধ্যমে এই চক্রের মুখোশ উন্মোচনের জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।
0 coment rios: