ঢাকা গেট, সিলেট, ২৭ এপ্রিল ২০২৫,
বাংলাদেশের বিমান চলাচল ও বাণিজ্য খাতে এক যুগান্তকারী অগ্রগতির অংশ হিসেবে ঢাকা থেকে ইউরোপে কার্গো পরিবহন খরচ ১৩ শতাংশ কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বাশির উদ্দিন। রোববার সন্ধ্যায় সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ফ্লাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর এই প্রথম ঢাকার বাইরে থেকে কার্গো ফ্লাইট পরিচালিত হলো, যা সিলেটবাসীর জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
“আমাদের ব্যবসায়ীরা উচ্চ খরচের কারণে বিদেশি বিমানবন্দর ব্যবহার করতেন। এখন তার চেয়ে অনেক কম খরচে আমাদের দেশ থেকে কার্গো পরিবহন সম্ভব। সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইট চালু একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ,” বলেন উদ্দিন। তিনি সমস্যা সমাধানে সমন্বিত প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন এবং এই সাফল্যকে একটি “যাত্রার” অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবির ভূইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরিন জাহান। স্বাগত বক্তব্য দেন বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ।
রাষ্ট্রদূত আনসারী বলেন, “সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি কার্যকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এই দাবিতে তারা হরতাল পর্যন্ত করেছেন। কার্গো ফ্লাইট চালু হওয়ায় সিলেটবাসী উপকৃত হবেন।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে অন্তত দুটি কার্গো ফ্লাইট সিলেট থেকে পরিচালিত হবে।
নাসরিন জাহান বলেন, “সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইট চালু হওয়ায় ঢাকার ওপর চাপ কমবে এবং সিলেটবাসীর বিশ্বের সঙ্গে সংযোগের দাবি পূরণ হবে।”
প্রথম কার্�lighting ফ্লাইটটি, যা একটি এয়ারবাস ৩৩৭ মডেলের, ৬০ টন পণ্য নিয়ে স্পেনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিএনপি, জামায়াত নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই উদ্যোগ বাংলাদেশের রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিদেশি বিমানবন্দরের উপর নির্ভরতা হ্রাস এবং সিলেটের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভূমিকা জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ.আর/এম.আর