বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে, যা দুই দেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। একসময় বৈরী সম্পর্ক থাকলেও ধীরে ধীরে তা কৌশলগত অংশীদারিত্বে পরিণত হয়েছে। চীনের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একটি নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে অবকাঠামো, প্রযুক্তি, শিল্প এবং সামরিক ক্ষেত্রে।
চীনের বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য একাধিক সম্ভাবনা তৈরি করেছে:
অবকাঠামো উন্নয়ন: পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, কর্ণফুলী টানেল, এবং ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক করে তুলেছে।
শিল্প ও কর্মসংস্থান: নতুন নতুন শিল্প গড়ে উঠছে, যা দেশের কর্মসংস্থানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা: সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণে চীনের সহযোগিতা বাংলাদেশকে শক্তিশালী করেছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি: ফাইভ-জি প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট অবকাঠামোর সম্প্রসারণে চীনের অবদান গুরুত্বপূর্ণ।
তবে, চীনা বিনিয়োগের সাথে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে: ঋণ সংকট: বাংলাদেশকে ঋণের ব্যবস্থাপনা সতর্কতার সাথে করতে হবে। পরিবেশগত প্রভাব: বিনিয়োগ যেন টেকসই হয়, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষা: চীনা বিনিয়োগ যেন দেশীয় শিল্পের বিকাশের জন্য বাধা না হয়।
বাংলাদেশের জন্য চীনের সাথে সম্পর্ক রাখা গুরুত্বপূর্ণ, তবে কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে, যাতে অন্যান্য বন্ধুদেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় থাকে। বাংলাদেশ যদি এই চ্যালেঞ্জগুলো দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করতে পারে, তবে চীনের বিনিয়োগ দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে আরও গতিশীল করবে।
এ আই/এম.আর