Thursday, April 24, 2025

শেখ পরিবারের ৪ সদস্যের উপর দুর্নীতির অভিযোগে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

 


ঢাকা: দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শেখ পরিবারের চারজন সদস্যের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকার একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ জারি করেন।
যাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তারা হলেন: শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। শেখ সোহেল, জুয়েলের ভাই, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক পরিচালক। শেখ জালাল উদ্দিন রুবেল, আরেক ভাই, যিনি নৌপরিবহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। শেখ তন্ময়, বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং শেখ হেলালের পুত্র।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে আবেদন জমা দিয়ে জানান, বিগত সরকারের সময়ে এই ব্যক্তিরা বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তদন্তের সময় তাদের বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দুদক জানতে পেরেছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আবেদন করা হয়।
শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই শেখ আবু নাসেরের পুত্র। তিনি ২০১৮ ও ২০২৪ সালে খুলনা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার ভাই শেখ সোহেল যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বিসিবির সাবেক পরিচালক। অপর ভাই শেখ জালাল উদ্দিন রুবেল নৌপরিবহন ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। শেখ হেলালের পুত্র শেখ তন্ময় ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বাগেরহাট-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম জানান, তদন্তের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এme. তিনি বলেন, “এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জরুরি।” আবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার এমপিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
এই আদেশের মাধ্যমে সাবেক সরকারের সঙ্গে যুক্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হলো। দুদক এখন এই পরিবারের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে গভীরভাবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.