ইন্টারন্যাশনাল : গত শীতে আফগানিস্তান থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত বিস্তৃত হিন্দুকুশ-হিমালয় পর্বতমালায় তুষারপাতের পরিমাণ গত ২৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে দক্ষিণ এশিয়ার ৭টি দেশ—আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভূটান ও মিয়ানমার—চরম বিপর্যয়ে পড়তে পারে।
পর্বত পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেড ডেভেলপমেন্ট’ (আইসিআইএমওডি) প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে: নদীর পানির প্রবাহ কমে যাবে, যার ফলে পানির অভাব দেখা দিতে পারে।ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাবে।খরার প্রকোপ বাড়বে এবং দাবদাহ দীর্ঘস্থায়ী হবে
বিশেষজ্ঞদের মতে, তুষারপাতের সময় এবং পরিমাণে এই পরিবর্তন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘটছে। ডিসেম্বর মাসে হিমালয়ে তুষারপাত শুরু হওয়ার পরিবর্তে এবার জানুয়ারির শেষ দিকে তুষারপাত হয়েছে, এবং তুষারপাতের পরিমাণও গড়ের তুলনায় কম ছিল।
এই অঞ্চলের নদীগুলোর সুরক্ষায় এবং খরার প্রভাব কমাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আইসিআইএমওডি’র গবেষক শের মুহম্মদ বলেছেন, যদি কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
তুষারপাতের এই অভাব হিমালয় অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য সংকট সৃষ্টি করতে পারে, যার প্রভাব সরাসরি জনজীবন ও পরিবেশের ওপর পড়বে। তাই কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশগত সুরক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
এ আই/এম.আর
-