ঢাকা, ১৯ এপ্রিল: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশে অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ দুপুর ১২টায়, প্রথম ফ্লাইটে পাঁচজন বাংলাদেশি নাগরিক ঢাকায় ফিরে এসেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির অধীনে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ এবার বাংলাদেশীদের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। ১৯ এপ্রিল, শনিবার, ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি বিশেষ ফ্লাইট অবতরণ করে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার অংশ।
এই ফ্লাইটটি পরিচালনা করেছে গ্রিফন এয়ার, যা মূলত মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য চার্টার পরিষেবা প্রদানকারী একটি বিমান সংস্থা। গ্রিফন এয়ার অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) এর সাথে কাজ করে এবং অবৈধ অভিবাসীদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করে।
প্রথম ধাপে, পাঁচজন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে; তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং একজন নারী রয়েছেন। ফেরতের পাসায়, কুমিল্লা জেলা থেকে ১ জন, নোয়াখালী থেকে ২ জন, চট্টগ্রাম থেকে ১ জন এবং সিলেট জেলা থেকে ১ জন বাসিন্দা আছেন।
এই বিশেষ ফ্লাইটটি মূলত শুক্রবারে যাত্রা করার কথা ছিল, তবে এটি একদিন বিলম্বিত হয়ে শনিবার দুপুরে ঢাকায় পৌঁছায়। সূত্র অনুযায়ী, অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন কারণে গিয়েছিলেন, তবে তারা বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বসবাস করছিলেন। এই অবস্থা মার্কিন অভিবাসন নীতির লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হয়ে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে, প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে, যা মার্কিন অভিবাসন নীতির কঠোর বাস্তবায়নের একটি উদাহরণ। সূত্র অনুযায়ী, প্রক্রিয়া এখানেই শেষ নয়; যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত আরও অবৈধ অভিবাসীদের পর্যায়ক্রমে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
এই নীতির অধীনে, মার্কিন প্রশাসন অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করে তাদের নিজ-নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছে
এ আই/এম.আর