জুলাই বিপ্লবের সময় আহত যোদ্ধারা এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সচেতন নাগরিকদের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা তৎকালীন স্বৈরাচারী শাসনামলে নিয়োগ পাওয়া অবৈধ কর্মকর্তাদের অপসারণ এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন।
এই মানববন্ধনের মাধ্যমে তারা প্রশাসনে সুশাসন ফিরিয়ে আনা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য জোরালো দাবি জানিয়েছেন।
মানববন্ধনে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন সচেতন নাগরিক এবং জুলাই বিপ্লবের আহত যোদ্ধারা অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা হাতে ব্যানার, পোস্টার এবং ফেস্টুন নিয়ে তাদের দাবি তুলে ধরেন। ব্যানারগুলোতে লেখা ছিল, “অবৈধ কর্মকর্তাদের অপসারণ করা হোক”, “জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই”, “সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে” ইত্যাদি স্লোগান। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন তরুণ, যুবক, নারী এবং প্রবীণ নাগরিকরা, যারা সকলেই ন্যায়বিচারের জন্য একত্রিত হয়েছিলেন।
মানববন্ধনের আয়োজকদের একজন, জুলাই বিপ্লবের আহত যোদ্ধা মো. রাকিব হোসেন, তার বক্তব্যে বলেন, “আমরা জুলাই বিপ্লবে রক্ত দিয়েছি, প্রিয়জন হারিয়েছি, কিন্তু এখনো ন্যায়বিচার পাইনি। তৎকালীন স্বৈরাচারী শাসনের অধীনে যারা অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন, তারা এখনো প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রয়েছেন। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই, তাদের অপসারণ করে প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হোক।”
ঢাকা মহানগর উত্তরের সচেতন নাগরিক ফোরামের সমন্বয়ক ফারজানা আক্তার বলেন, “জুলাই বিপ্লব ছিল জনগণের বিপ্লব। এই বিপ্লবে শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের এখনো বিচারের আওতায় আনা হয়নি। আমরা আজ এখানে সমবেত হয়েছি এই দাবি জানাতে যে, অবিলম্বে জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করা হোক।”
এআই/...