বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার একটি অনন্য স্থাপনা হলো ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ। এই মসজিদ শুধুমাত্র তার ধর্মীয় ও স্থাপত্যগত গুরুত্বের জন্য নয়, তার দানের পরিমাণ ও বিশ্বাসের কারণে দেশব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে।
সম্প্রতি, মসজিদের দানবাক্স খুলে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে। প্রায় ৪০০ জনের একটি দল ৯ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এই অর্থ গণনা করেছেন।
এই মসজিদে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মানত করেন, যেখানে তাদের মনের আশা পূরণ হবে—এমন বিশ্বাস রয়েছে। ফলে, নগদ অর্থ, স্বর্ণ ও রূপার অলঙ্কার থেকে শুরু করে গরু, হাঁস-মুরগি, এমনকি বৈদেশিক মুদ্রাও দান করা হয়।
প্রায় আড়াইশ বছর আগে এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝে। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর উপাসনালয়টি এলাকাবাসী পাগলা মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেন।
দান থেকে প্রাপ্ত অর্থ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা, এবং সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে "পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স" নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে একসাথে ৩০,০০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
পাগলা মসজিদ শুধু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়; এটি কিশোরগঞ্জ জেলার অন্যতম ঐতিহাসিক এবং পর্যটনকেন্দ্র।
এ আই/এম.আর
0 coment rios: