ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা নতুন মোড় নিয়েছে। ইসরায়েল তাদের পূর্বের কঠোর অবস্থান থেকে কিছুটা নমনীয় হয়েছে বলে জানা গেছে। মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর ও কাতারের প্রচেষ্টায় এই আলোচনা এগিয়ে চলেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। তবে ১৮ মার্চ ইসরায়েলের হামলায় সেই চুক্তি লঙ্ঘিত হয়। বর্তমানে মিসরের প্রস্তাব অনুযায়ী, ৪৫ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সময় আটজন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর বিনিময়ে ইসরায়েল কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেবে।
ইসরায়েল তাদের প্রস্তাবে জিম্মি মুক্তির সংখ্যা কমিয়ে এনেছে এবং গাজা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে তারা একজন জিম্মির বিনিময়ে শুধুমাত্র যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একজন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে চায়। এছাড়া, গাজার অবরোধ তুলে নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা চলছে।
হামাস ইসরায়েলের প্রতিশ্রুতিকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করছে না এবং তাদের বেশিরভাগ দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ফলে, অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হলেও স্থায়ী সমঝোতার সম্ভাবনা এখনো অনিশ্চিত।
মিসরের রাজধানী কায়রোতে আজ রাতে হামাসের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, শিগগিরই স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ আই/এম.আর