চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি খাতে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। গত সাত বছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৩৫.৯৫ শতাংশ বেড়েছে, যা দেশের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। একই সময়ে, চীনের বাজার শেয়ার ৩৯.৬৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন বাণিজ্য বিভাগভুক্ত অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৫,৪০১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল। ২০২৪ সালে এই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭,৩৪২.৮৫ মিলিয়ন ডলারে। একই সময়ে চীনের রপ্তানি ২৭,৩৭১.৭ মিলিয়ন ডলার থেকে কমে ১৬,৫০৭.৪১ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম এবং ভারত—এই তিনটি দেশ উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
বিশ্ব বাণিজ্যের জিওপলিটিক্যাল পরিস্থিতি এবং ট্যারিফ যুদ্ধের কারণে ক্রেতারা বিকল্প সরবরাহকারীর দিকে ঝুঁকছেন। এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ এমন এক শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে, যা দেশের পোশাক খাতের সক্ষমতা প্রতিফলিত করে। তবে, এই ধারাকে টিকিয়ে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, “চীন-যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যিক যুদ্ধের সুযোগ কাজে লাগাতে পারায় বাংলাদেশের রপ্তানিতে এই অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এটি প্রমাণ করে, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে।
বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, ক্রেতাদের আস্থা বৃদ্ধি এবং নতুন বাজার সন্ধানের কৌশল গ্রহণ জরুরি। একই সঙ্গে, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এ আই/এম.আর