যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ৯০ দিনের জন্য নতুন শুল্ক স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বুধবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ড. ইউনূস তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এই ধন্যবাদ প্রকাশ করেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, "আমাদের অনুরোধে ৯০ দিনের জন্য নতুন শুল্ক স্থগিত করার সিদ্ধান্তে সম্মতি জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, মি. প্রেসিডেন্ট। আমরা আপনার বাণিজ্যনীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।"
এর আগে, মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে ড. ইউনূস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে তিনি বাংলাদেশের ওপর আরোপিত ৩৭ শতাংশ শুল্ক প্রস্তাব তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখার আহ্বান জানান। চিঠিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে বাংলাদেশ আমদানি বৃদ্ধি এবং শুল্ক কাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে।
চিঠির শেষাংশে ড. ইউনূস লেখেন, "বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্যে আরোপিত পালটা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, আপনি আমাদের এই অনুরোধ গ্রহণ করবেন।"
অন্যদিকে, বুধবার ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে চীনের ওপর শুল্ক ১২৫ শতাংশে উন্নীত করার ঘোষণা দেন। তিনি উল্লেখ করেন, "বিশ্ববাজারের প্রতি চীন যে অসম্মান দেখিয়েছে, সেটির ভিত্তিতে আমি চীনের ওপর শুল্কের পরিমাণ ১২৫ শতাংশে উন্নীত করছি। যা এ মুহূর্ত থেকে কার্যকর হবে।"
তিনি আরও লেখেন, "একটা সময়ে, আশা করি দ্রুত চীন বুঝতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশকে ‘শোষণ’ করার সময় বিষয়টি আর মানা হবে না।"
ট্রাম্প আরও জানান, ৭৫টিরও বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাণিজ্য, শুল্ক, মুদ্রা জালিয়াতি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। এই দেশগুলো তার পরামর্শের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো পাল্টা ব্যবস্থা নেয়নি। তাদের জন্য তিনি শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন এবং পারস্পরিক শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে এনেছেন।
এ আই/এম.আর