বাণিজ্য উপদেষ্টা: "রফতানিতে প্রভাব পড়বে না, নতুন পরিকল্পনায় এগোচ্ছে সরকার
বাংলাদেশের জন্য ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তবে, এই পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকার দৃঢ় অবস্থান নিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তৃতীয় দেশগুলোতে রফতানির সক্ষমতা উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন এই বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান যে ভারতের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রফতানিতে কোনো দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে না। তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক বাজারে টিকে থাকার জন্য বাণিজ্যিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সরকার রফতানি ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে যাতে কোনও ঘাটতি না পড়ে সেটি নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
ভারতের তিনটি বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ প্রতি বছর ৪০ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট করতো। তবে, এখন সরকার বিকল্প উপায়গুলো বিবেচনায় এনে কার্যকর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে। এই উদ্যোগ দ্রুত কার্যকর হবে বলে বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান। তিনি বলেন, "আমরা নতুন কৌশল গ্রহণ করছি, এবং এটি সম্পন্ন করা সম্ভব।"
বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক আরোপের তিন মাসের স্থগিতাদেশও এই মুহূর্তে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ বিষয়ে সেখ বশির উদ্দিন বলেন যে এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে শুল্ক সমস্যার সমাধান আরও সহজ করবে।
সরকারের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশকে আরও শক্তিশালী করতে পারে। ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার অভাব কাটিয়ে উঠতে এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে রফতানি প্রক্রিয়ায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
এ আই/এম.আর